This is default featured slide 1 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 2 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 3 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 4 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 5 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
Thursday, February 18, 2021
♧শিমুল গাছের উপকারীতা।♧♧
Monday, November 4, 2019
সাদা স্রাব দুর করার উপায় ।
Tuesday, December 4, 2018
পুরুষত্বে সমস্যায় প্রাকৃতিক আরোগ্যঃ
বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের (Male) মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে তা হচ্ছে যৌন সমস্যা৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌণ ইচ্ছা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে আপনি সচেতন হয়ে যান৷ জেনে নিন কেন আপনার মধ্যে থেকে এই চাহিদা ক্রমঃ ক্ষয়মান (loss of sexual interest)৷
হোম রেমেডি (Home Remedy) পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি (Home remedy)৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবে মাত্র দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষত্রে হোম রেমেডি(Home Remedy) কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিত্সা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি(Home Remedy) প্রযোজ্য নয়৷
এবার জেনে নেওয়া যাক যৌন অক্ষমতার (Sexual Impotence) প্রথম ধাপের চিকিত্সাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার (Benefits) হয়–
রসুন (Garlic):
যৌন অক্ষমতার (Sexual Impotence) ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ (Penicillin for poor) বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক (Antiseptic) এবং রোগ প্রতিরুধক (immune booster) হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য(Available) সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে (As a food) গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার(Recall sexual desire) ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় (Disease or accident) আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত(Nymphomania) হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷
ব্যবহারের নিয়মঃ
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের (Garlic) কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির (Bread from wheat) সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায়(Increase sperm) এবং সুস্থ স্পার্ম (Healthy sperm) তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷
পেঁয়াজ (Onion):
কাম-উত্তেজক (Sexual excitement) ও কামনা বৃদ্ধিকারী (Sexual increasing) হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷
ব্যবহারের উপায়ঃ
সাদা পেঁয়াজ(White onion) পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর (Honey) সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক আপনার পেট খালি(Empty stomach) রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন অর্থাৎ স্পারমাটোরিয়া (spermatorrhea) সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷
এছাড়া পেঁয়াজের রসের (Onion juice) সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এটির নিয়মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা(Sexual excitement) বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷
গাজর (Carrot):
১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল(অর্ধ সিদ্ধ) ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷
কলা (Banana):
আমরা প্রত্যেকেই জানি, যদি ডাক্তার থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। কিন্তু যদি আপনি যৌন স্বাস্থ্যে এবং যৌন বন্ধ্যাত্ব থেকে দূরে থাকতে চান, তবে প্রতিদিন কলা খান। কারণ এই ফলে ব্রমেলেইন (Bromelain) নামে এনজাইম আছে, যা যৌন বন্ধ্যাত্ব দূর করবে এবং যৌন শক্তি বাড়াবে। কলা ভিটামিন বি এর একটি চমৎকার উৎস, যা দৈহিক শক্তি (Stamina) বাড়ায়।
তাই এখন আর দুশ্চিন্তা করবেন না৷ সমস্যার একেবারে প্রথম ধাপে(First stage) আপনি বাড়িতে এই পদ্ধতি গুলি (This way) মেনে চলে দেখুন। হয়তঃ প্রাথমিক ধাপে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷
Monday, September 24, 2018
কম্পিউটার ঠিক রাখার সহজ পাঁচটি উপায়
দু’বছরের পুরনো কম্পিউটারে আর কাজ করতেই পারছেন না? অথবা নতুন কেনা ল্যাপটপ চালু হতেই ১০ মিনিট লেগে যায়? ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের এ রকম অনেক ধরনের সমস্যার অনেকটাই আপনি নিজে খুব সহজে মিটিয়ে ফেলতে পারেন। দরকার শুধু একটু নিয়মিত যত্ন আর চেকআপ ।
তাপমাত্রা
সাধারণত আমরা খেয়াল করি না কম্পিউটারের ভিতরে কী চলছে। এক-দুই বছরের পুরনো হতে থাকে যখন কম্পিউটার, স্বাভাবিক ভাবেই সিপিইউ-এর উপর যে কুলার থাকে, সেখানে ধুলো জমে কুলিং-এর কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এ ছাড়াও ওই ফ্যানের নীচে আর সিপিইউ-এর মাঝে একটা পাতলা থার্মাল পেস্টের লেয়ার থাকে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটাও কিছুটা শুকিয়ে আসে। ফলে সিপিইউ থেকে তাপ কুলার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না।
এখন থেকে কম্পিউটার চালিয়ে এইচডব্লিউ-মনিটর (HWMonitor) নামের সফটওয়্যার (বিনামূল্যে পাবেন) ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝে খেয়াল করে দেখুন— কম্পিউটার যখন চালু করছেন, আর যখন খুব কাজ করছেন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত। যদি দেখেন সাধারণ ভাবে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৭৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, খুব একটা চিন্তার কারণ নেই। তাপমাত্রা যদি তার থেকে বেড়ে যায়, ভাল করে ভিতরের ধুলো পরিস্কার করুন। অনেক ক্ষেত্রে এতেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও না হলে থার্মাল পেস্ট পাল্টাতে হতে পারে। নিজে না পারলে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
হার্ড ডিস্ক স্লো
কম্পিউটার চালু হতেই অনেক সময় নিচ্ছে? অথবা সামান্য একটা ফাইল খুলতে গেলে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে? ভাল করে খেয়াল করে দেখুন, আপনার ল্যাপটপের হার্ড ডিস্কের স্পিড কত আরপিএম। যদি সেটা ৫,৪০০ রোটেশন প্রতি মিনিট হয়, তবে তা সাধারণ ৭,২০০ আরপিএম হার্ড ডিস্কের থেকে স্লো হবেই, কিছু করার নেই। এটা কেনার আগেই খেয়াল করবেন। কিন্তু আপনার যদি সাধারণ ৭,২০০ আরপিএম এর হার্ড ডিস্ক আগের থেকে স্লো হয়ে যায়, সেটাকে ডিফ্র্যাগ করুন। এর ফলে যত তথ্য রয়েছে হার্ড ডিস্কে, সব একটা নির্দিষ্ট অংশে থাকবে, হার্ড ডিস্ক জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে না, ফলে আপনি যখন কোনও ফাইল খুজবেন, অনেক তাড়াতাড়ি সেটা খুঁজে পাবেন, খুলে ব্যবহার করতে পারবেন। যদি নতুন কম্পিউটার হয়ে থাকে, তাতে শুরুতেই বায়োস সেটিংস (BIOS Settings) ব্যবহার করে ফাস্ট বুট চালু করে দিন, উইনডোজ চালু হবে আরও তাড়াতাড়ি।
র্যামের যথাযথ ব্যবহার
৮ জিবি র্যাম থাকা সত্বেও সামান্য কিছু ট্যাব খুলতেই প্রায় অর্ধেক র্যাম ভরে যাচ্ছে, তার পর ছবি বা ভিডিও এডিটের মত কাজ করার কোনও উপায় প্রায় থাকছেই না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কম্পিউটার শুরু হতেই পিছনে কী কী সফটওয়্যার চালু হয়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক এ রকম সফটওয়্যারও চালু হয়ে যায়, যা আপনি হয়ত কোনও দিন ব্যবহারও করেন নি, বা খুব অল্প ব্যবহার করেছেন। টাস্ক ম্যানেজার থেকে দেখুন স্টার্ট আপে কী কী সফটওয়্যার চালু হচ্ছে । অপ্রয়োজনীয় সবকটি সফটওয়্যার বন্ধ করুন। দেখুন অটো আপডেটে কী কী সফটওয়্যার রয়েছে, যার জন্যে আপনার কম্পিউটার এবং নেট স্লো হয়ে যেতে পারে, সব বন্ধ করুন। ম্যানুয়ালি আপডেট করুন নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী। খেয়াল রাখুন ক্যাশে মেমরি এবং টেম্প ফাইল, জাঙ্ক ফাইল নিয়মিত ক্লিয়ার করার কথা। শুধু র্যাম নয়, ফাস্ট হবে গোটা কম্পিউটার, লাভবান হবেন আপনি। সি-ক্লিনার (C Cleaner) এ রকমই একটা সফটওয়্যার, ফ্রি-তে পাবেন, আপনার জন্যে এ রকম সব কাজ একটা ক্লিকে করে দেবে।
প্রয়োজনীয় আপডেট
সাধারণত কোনও আপডেট দেখলেই সেটা ‘রিমাইন্ড মি ল্যাটার’ করে রাখি আমরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটা শুধু দরকারি তাই নয়, আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখার জন্যেও এটা ভাল। ওয়ানাক্রাই (Wanna Cry) বেশি দিন আগের কথা নয়। এটা এমন এক ভাইরাস, যা আপনার কম্পিউটারকে হ্যাক করে এমন অবস্থায় রেখে দেবে, দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়া অবধি আপনি কিছু করতে পারবেন না ওই কম্পিউটারে। কিন্তু এই ভাইরাস আসার আগে আগেই উইনডোজ আপডেট দিয়েছিল সমস্ত ব্যবহারকারীর জন্যে, এবং যাঁরা আপডেট করে নিয়েছিলেন, তাঁদের কিন্তু কিচ্ছু হয়নি। আপডেটগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনও নতুন ফিচার বা পুরনো সমস্যা মেটানোর জন্যই, তাই আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলি আপডেট করে রাখুন ।
ক্লিন ফরম্যাট
ডেস্কটপ ভর্তি আইকন, ফাইল, হার্ড ডিস্ক প্রায় ভর্তি, এ রকম অবস্থায় কম্পিউটার আগের থেকে স্লো চলবে, সেটাই স্বাভাবিক। সব থেকে ভাল, সমস্ত ফাইলের ব্যাকআপ নিন একটা হার্ড ডিস্কে, নিয়ে ক্লিন ফরম্যাট করুন। এটা ঠিক, তার পর সমস্ত সফটওয়্যার ইনস্টল করা, বুকমার্ক তৈরি করা, সব মেল আইডি ধরে লগ ইন করা, হাজার ঝক্কি। কিন্তু যদি মনে করেন আগের থেকে একটু ভাল ভাবে কম্পিউটারটা চলুক, তা হলে হয় আপনার অগোছালো অভ্যেস ত্যাগ করতে হবে, অথবা ক্লিন ফর্মাট।
Friday, August 10, 2018
পেয়ারার ওষধি গুণাগুণ ।
স্বাদ, পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা যেতে পারে। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন—যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি।
পেয়ারার বিশেষ পাঁচটি গুণের মধ্যে রয়েছে, এটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখের জন্য ভালো, পেটের জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী।
ডায়াবেটিস রোধে
নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কারণ পেয়ারায় যে আঁশ আছে, তা শরীরে চিনি শোষণ কমাতে পারে।
রোগ প্রতিরোধে
পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে তা শরীরে গেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
দৃষ্টিশক্তির জন্য
পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।
ডায়রিয়া রোধে
পেয়ারা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে অনেকটা। পেয়ারার আছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
ক্যানসার প্রতিরোধী
ক্যানসার প্রতিরোধেও পেয়ারা কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে। নির্দিষ্ট করে বললে, প্রোস্টেট ক্যানসার আর স্তন ক্যানসারের জন্য পেয়ারা উপকারী।
পেয়ারার ১০টি পুষ্টিগুণ:
১. এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি।
২. পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স
৩. এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও নিকোট্রিন অ্যাসিড৷
৪. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কাজ দেয়।
৫. এটি রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেতে পারেন৷
৬. অ্যাজমা, স্কার্ভি, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যানসার ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশ উপকারী৷
৭. জটিল শর্করা ও তন্তুসমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
৮. শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় উপকারী।
৯. পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এই ফলের রস সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে পারে।
১০. বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ যেমন: স্মৃতিভ্রংশ (আলঝেইমার), চোখে ছানি, আর্থরাইটিস বা হাঁটুব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
তথ্য সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো।
Monday, September 4, 2017
কালোজিরার ও মধুর উপকারিতা।
রাসূল (সা.)-এর যুগ থেকেই মুসলমানগণ কালোজিরার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করে আসছেন। এ ব্যাপারে একটি হাদিস তাদেরকে উৎসাহিত করেছে।
হাদিসে এসেছে রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা কালোজিরার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করো। কেননা তাতে মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের নিরাময় রয়েছে। সহি বুখারি। কালোজিরার ভেষজ ব্যবহার :
* নিদ্রাহীনতায় : মধু মেশানো এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ কালোজিরা মিশিয়ে ঘুমের পূর্বে সেবন করতে হবে। এতে করে অনিদ্রা দূর হয়ে প্রচুর ঘুম হবে।
* মাথা ব্যথায় : পরিমাণ মতো কালোজিরার চূর্ণ এবং তার অর্ধেক পরিমাণ গরম লবঙ্গ এবং অর্ধেক পরিমাণ মৌরিফল এক সাথে মিশিয়ে মাথা ব্যথার সময় ননিযুক্ত দুধের সাথে সেবন করতে হবে। আর কালোজিরার তৈল দ্বারা যন্ত্রণার স্থানে ডলে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
* যৌবন ধরে রাখতে ও লাবণ্যের জন্য : কোমল কালোজিরা পাতলা সিরকা এবং এক চামচ পরিমাণ গমের গুঁড়া মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ সন্ধ্যা বেলায় মুখম-লে মালিশ করবে এবং সকালে গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলবে। এক সপ্তাহ প্রতিদিন একাধিকবার তা করবে। আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে যদি উষ্ণ পানীয় সহযোগে কালোজিরার তেল সেবন করা যায়। মধু : কুরআনের আলোকে-‘আর মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানি নির্গত হয়, যা মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার।’ সূরা নাহল : ৬৯। হাদিসের আলোকে-হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, কুরআন হলো যেকোনো আত্মিক রোগের জন্য আর মধু হলো দৈহিক রোগের জন্য। ইবনে মাজাহ। মধুর ব্যবহার : মিষ্টিস্বাদের জন্য বিভিন্ন খাবারের সাথে মধুর ব্যবহার রয়েছে। মধুর গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। সকালের নাশতা ও হালকা খাবারে মধু নেয়া যায়। মধুতে ক্যালরি থাকায় মধু খাওয়ার পর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ প্রোটিন দেহের গঠন বৃদ্ধি সাধ্ম ও ক্ষয় পূরণে যথেষ্ট কার্যকর। মধুর ম্যাগনেশিয়া ও ফসফরাস শরীরের হাড় গঠনে সহায়ক। মধুর ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম হৃৎপি-কে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন এসিড পাকস্থলির বিভিন্ন জৈবিকক্রিয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ করে। মধুতে শক্তিশালী জীবাণুনাশক ক্ষমতা রয়েছে, যার নাম ইনহিবিন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুর বহুল ব্যবহার হয়। যেকোনও ওষুধকে বেশি প্রভাবশালী ও কার্যকরী করার জন্য মধুর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রোগে মধু ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন- *যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে মধু : দৈহিক ও যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য মধু গরম দুধের সাথে পান করলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন কালোজিরা মধু দিয়ে চিবিয়ে খেলে বা দৈনিক দুই চামচ আদার রস মধু দিয়ে খেলে প্রচুর পরিমাণে যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে।
* পোড়া : শরীরে কোথাও পুড়ে গেলে সামান্য মধু, মেহেদী পাতার সঙ্গে বেটে লাগালে এতে পোড়াজনিত জ্বালা ও কষ্ট লাগব হয়। * কোষ্ঠ কাঠিন্য : এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চামচ লেবু ও এক চামচ আদার রস এবং দু’চামচ মধু মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ রোগ দূর হয় ও কোষ্ঠ কাঠিন্য প্রশমিত হয়। * রক্তচাপ : দু’চামচ মধুতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে সেবন করলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক হয়ে যায়। * কাশি : আদা, পান, তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে দু’তিন বার খেলে কাশি কমে যায়। *দাঁতের ব্যথা : হঠাৎ যদি দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে মধুতে তুলা ভিজিয়ে ব্যথার স্থানে রাখলে ব্যথা কমে যাবে। রূপচর্চায় মধু ব্যবহার : দীর্ঘকালের মুখের দাগ তুলতে ও লাবণ্য মসৃণতায় মধু মেখে উপকার পাওয়া যায়। পরিশ্রম ও গরমে ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে পড়লে ঠা-া পানির সাথে লেবুর রস মিশ্রিত মধুর শরবত পান করলে দেহে উদ্যম ও সজীবতা ফিরে আসে। বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতে মধুর রয়েছে ব্যাপক ব্যবহার। মোট কথা কালোজিরা ও মধুর উপকারিতার শেষ বা সীমা নেই। কালোজিরা ও মধু আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ নিয়ামত।
সূত্র : ইনকিলাব।
Friday, August 18, 2017
পুরুষের লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা, কারণ ও প্রতিকার।
বেশিরভাগ পুরুষদের মধ্যেই অনেক যৌন সমস্যা থাকে যেগুলোর জন্য জীবনের কোন না কোন সময়ে তাকে পীঁড়া দেয়। বিশেষত বিবাহিত জীবনে পদার্পণের পরই এসব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। এসব যৌন সমস্যার মধ্যে লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা বা Erectile Dysfunction অন্যতম।
লিঙ্গ জনিত সমস্যার সমাধান সহজ ভাবেই করা সম্ভব। এর প্রধান কারণ সমূহ শারীরিক, মানসিক ও জীবন যাত্রার মানের উপর নির্ভরশীল। তাই একটু সচেতনতা আর প্রাথমিক পর্যায়ের যত্নই এই সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা কী?
যৌনক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে বা যৌন ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও পুরুষাঙ্গ যদি উত্তেজিত বা খাঁড়া না হয়ে স্বাভাবিক আকারেই থাকে, তবে সেটাকে লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। পুরুষের Erectile Dysfunction ( ED ) বা লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যাকে ধ্বজভঙ্গ, Sexual Impotence বা যৌন মিলনে অক্ষমতা এবং Male Erectile Disorder বা পুরুষাঙ্গের উত্থান জনিত রোগ বা ব্যাধি নামে বহুল পরিচিত।
Erectile Dysfunction সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে হয়ে থাকে। অন্য সময়ে যখন ED দেখা দিবে তখন এটাকে রোগ বা সমস্যা হিসেবে ধরে নিতে হবে। কখনও কখনও আবার হটাৎ দেখা দিলে তা নিয়ে মাথা না ঘামানোই উচিত হবে। তবে এ সমস্যা স্থায়ীভাবে দেখা দিলে বুঝতে হবে এটি যৌন রোগের লক্ষণ এবং দ্রত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে তা যৌন জীবনকে বিষাদের কালো ছায়ায় ঢেকে দিতে যাচ্ছে। তাই কালবিলম্ব না করে লিঙ্গোত্থানের সমস্যা দেখা দেবার সাথে সাথেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সরণাপন্ন হতে হবে।
লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যার কারণ কী কী?
পুরুষের যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্ক, হরমোন, রক্তবাহী নালী, স্নায়ু, মাংসপেশী, আবেগ ও অনুভূতি সব একসাথে কাজ করে। এগুলোর মধ্যে যে কোন একটিতে যদি ব্যাঘাত ঘটে; তাহলে লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও শারীরিক, মানসিক, হস্তমৈথুন, অত্যাধিক যৌন মিলন, রোগ, দূর্ঘটনা, দুশ্চিন্তা, প্রভৃতির জন্য এই সমস্যা প্রকট হতে পারে।
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন-
ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মেদ, হৃদরোগ;
রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া;
রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া;
একই সাথে কয়েকটি লক্ষণ (উচ্চ রক্তচাপ, ইনসুলিন ও কোলেস্টরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং কোমরের কাছে মেদ জমা) দেখা দেওয়া;
পারকিনসন, পেরোনাইজ রোগ;
টেসটোস্টেরনের পরিমাণ কমে যাওয়া;
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া;
তামাক, মদ্যপান ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার;
প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে, ফুলে গেলে বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা করানোর ফলে;
কোনো অপারেশন বা আঘাতের জন্য পেলভিক ও স্পাইনাল কর্ডের কোনো ক্ষতি হলে।
বিভিন্ন মানসিক সমস্যার কারণে লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন-
যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে মস্তিষ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হতাশা, দুশ্চিন্তাসহ অন্যান্য মানসিক অশান্তি থাকলে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং অবসাদ বেড়ে যায়, যা যৌন জীবনে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে;
মানসিক চাপ;
সুম্পর্কের অভাব বা সম্পর্কে টানাপোড়েন;
সঙ্গীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে না পারার হতাশা;
মানসিকভাবে উৎফুল্ল না থাকলে যৌন উত্তেজনা হ্রাস পায়;
অনেক সময় যৌনতা বা সেক্স বিষয়ে মানুষ উদাসীন হয়ে পড়ে। সে সময় যদি লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা দেখা দেয়; তবে সেই ব্যক্তি আরও বেশি আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
প্রথম বার সেক্স বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার সময় কোন কারণে ভয়ভীতি বা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলেও লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
কিছু কিছু বিষয় আছে যা এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায় বহুগুন।
বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে লিঙ্গোত্থান ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকে। বয়সের সাথে সাথে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ও ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও লিঙ্গোত্থানের সমস্যাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
পুরুষ লিঙ্গের উত্থান ক্ষমতা যেসকল স্নায়ু বা নার্ভের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেগুলো কোনো আঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলে;
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ যেমন- Antidepressants, Antihistamines এবং উচ্চ রক্তচাপ, ব্যাথা ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য যে সকল ঔষধ দেওয়া হয় তা ব্যবহারের কারণে;
মদ্যপান ও মাদক সেবনে এ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
দীর্ঘদিন সাইকেল চালানোর জন্য স্নায়ু সংকুচিত হয়ে যায় এবং লিঙ্গে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। যার ফলে কিছু সময়ের জন্য লিঙ্গের উত্থান ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যার সমাধানের জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেখে অনেকেই ওষুধ সেবন করে। যা অস্থায়ীভাবে সেক্স বৃদ্ধি বা লিঙ্গকে দৃঢ় করে তুললেও