https://www.facebook.com/Creativehira-health-care

আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুন। নতুন নতুন তথ্য জানতে পেজটিতে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Sunday, July 24, 2016

বি এস এফ কতৃক নির্যাতন পিটিয়ে হত্যা।

https://youtu.be/U8472iSWNDU

Friday, July 22, 2016

★★★অদ্ভুত চিকিৎসক।★★★

বাদশাহ নামদার এতো মোটা হয়েছে। কোন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না। কেমন যেন শরীরে একটু অশান্তি লাগছে। মোটা হওয়ায় এই সমস্যা।
তাই তিনি রাজ হাকিমদের সাস্থ্য কম হওয়ার দাওয়াই দিতে হুকুম দিলেন।
কিন্তু কথায় আছে "আল্লাহ যাকে দেন, জমিন ফাইটা দেন "
বাদশার জন্যও তাই হলো।
রাজ হাকিমরা যতই সাস্থ্য কম হওয়ার দাওয়াই দেয়। বাদশা উল্টো ততই মোটা হয়। সমস্যা আরো বেশী প্রকট হলো।
বাদশা এবার দরবারে কিভাবে সমাধান করা যায় তার আলোচনা করল।
দরবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমস্ত রাজ্যে ঘোষণা করা হলো।
আর সাথে একথাও প্রচার করা হলো "যে ব্যক্তি বাদশার সাস্থ্য কমিয়ে মোটা থেকে চিকন করতে পারবে, তাকে অনেক পুরস্কার প্রদান করা হবে। "
ঘোষণা শুনে অনেক হাকিম চিকিৎসা করতে আসলো। কিন্তু কোন ফল হলো না। বরং সাস্থ্য বাড়তেই থাকল।
এক দিন ছিন্ন -ভিন্ন, দরিদ্র, এক গ্রাম্য হাকিম আসলো বাদশাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য।
দরবারের সবাই তাকে উপহাস করে বলল।
:আপনার থেকে নামি দামী অনেক হাকিম পারলোনা। আর তুমি পারবে?
: ইনশাআল্লাহ! চেষ্টা তো করতে পারি।
: সময় নষ্ট না করে চলে যাও।
গ্রাম্য হাকিম বললো।
: আমাকে তিন দিন সময় দিন। আমি বাদশাহ হুজুরের সিতারা এবং ভাগ্য গনণা করে দাওয়াই দিব। আর আমাকে বন্দী করে রাখেন। কাজ না হলে শাস্তি দিবেন। তাকে তিন দিন সময় দেওয়া হলো।
সে তিন দিন পর এসে জানাল।
: আমি বাদশাহ হুজুরের ভাগ্য এবং সিতারা গনণা করে দেখলাম। হুজুরের হায়াত মাত্র চল্লিশ দিন। চল্লিশ দিন পর হুজুর মারা যাবে। তাই হুজুরকে দাওয়াই দিতে পারলাম না।
গ্রাম্য হাকিমকে বন্দী করে জেলখানায় রাখা হলো।
বাদশাহ নামদার মৃত্যুর কথ শুনে চিন্তায় পড়লেন।
নাওয়া -খাওয়া, আনন্দ -ফুর্তি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ আল্লাহ শুরু করলেন।
এমনকি স্ত্রী -পুত্র, দরবার, বন্ধ -বান্ধব সব বাদ দিয়ে একান্তে জিকর -আজকার শুরু করল।
বাদশাহ দিন দিন শুকে চিকনা হয়ে গেল।
চল্লিশ পর মৃত্যু হচ্ছে না। হাকিমকে হাজির করার আদেশ দিলেন।
হাকিমকে হাজির করা হলো।
তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো।
: তোমার বেধে দেওয়া সময়ের পরও তো বাদশাহ মারা গেল না।
হাকিম বলল।
: ঐটায় তো আমার ঔষধ। বাদশাহ চিকন হয়েছে কিনা বলেন??
বাদশাহ তার বুদ্ধি দেখে তাকে অনেক অনেক পুরস্কারে পুরুস্কিত করে ছেড়ে দিল।
------আরবী সাহিত্য থেকে সংগ্রহিত।

Wednesday, July 20, 2016

মানুষ কেমন করে বদলায়।

-ইমদাদুল হক মিলন গল্পটা বলেছিল হাজামবাড়ির মজিদ। গল্পকে সে বলত কিচ্ছা। আমার কিশোরবেলার কথা। গ্রামে নানির কাছে একা একা থাকি। সন্ধ্যাবেলা মজিদ মাঝে মাঝে আমাকে কিচ্ছা শোনাতে আসত। রাক্ষস খোক্ষস, জিন পরী, দেও দানব, ভুত পেতনি আর রাজরাজার কিচ্ছা। এই কিচ্ছাটা ছিল ডাকাতের। এক দুর্ধর্ষ ডাকাত রামদা হাতে বনোপথে দাঁড়িয়ে থাকে। সেই পথে টাকা-পয়সা সোনাদানা নিয়ে যে যায় রামদায়ের এক কোপে ধর থেকে তার মুন্ডুটা আলগা করে দেয় সে। তারপর তার টাকা-পয়সা সোনাদানা নিয়ে বাড়ি যায়। সংসারে বউ ছেলেমেয়ে আছে। তারা খুবই আরাম আয়েশে জীবন কাটায়। একদিন সেই বনোপথ ধরে এক সাধু আসছিল। ডাকাত তার সামনে রামদা উঁচিয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধু বললেন, আমাকে তুমি খুন করতে চাও কেন? তোমার কাছে যা আছে সেসব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। সেটা তো তুমি আমাকে খুন না করেও নিতে পার? তা পারি, কিন্তু মানুষ খুন করা আমার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ১০০টি খুন করেছি, তোমাকে খুন করলে খুনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০১। আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি? পারো। ডাকাতির টাকা-পয়সা সোনাদানা দিয়ে তুমি কী করো? কী আর করব। সংসার চালাই। বউ-ছেলেমেয়ের ভরণপোষণ করি। কিন্তু ডাকাতি আর মানুষ খুন করে তুমি যে পাপ করছ এই পাপের দায়ভার কি তোমার স্ত্রী-ছেলেমেয়েরা নেবে? ডাকাত একটু চিন্তিত হলো। তা তো জানি না। কোনো দিন কি জানার চেষ্টা করেছ? না। এখন গিয়ে জেনে আসো। আর তুমি? আমি এখানে তোমার অপেক্ষায় বসে থাকব। ডাকাত হাসল। তুমি কি আমাকে এতই বোকা মনে করো? আমি তোমাকে এখানে বসিয়ে রেখে ওসব কথা জানতে যাই আর সেই ফাঁকে তুমি পালাও। ওটি হবে না বাপধন। তাহলে এক কাজ করো। আমাকে এই গাছের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখে যাও, যাতে আমি পালাতে না পারি। হ্যাঁ, এটা হতে পারে। তাহলে তা-ই করো। সাধুকে একটি গাছের সঙ্গে শক্ত করে বেঁধে বাড়ি গেল ডাকাত। গিয়ে স্ত্রীকে প্রথমে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা, এই যে আমি ডাকাতি করে, মানুষ খুন করে টাকা-পয়সা রোজগার করে তোমার ভরণপোষণ করি, তাতে যে আমার পাপ হয়, এই পাপের অর্ধেক দায়ভার কি তুমি নেবে? স্ত্রী অবাক। কেন তোমার পাপের দায়ভার আমি নেব? যেহেতু তুমি আমার স্ত্রী। আমার অর্ধাঙ্গিনী। স্ত্রী, অর্ধাঙ্গিনী যা-ই বলো আমার ভরণপোষণ এবং সংসার পরিচালনার দায় তোমার। তুমি কীভাবে কোন পদ্ধতিতে রোজগার করে সংসার চালাচ্ছ সেটা আমার দেখার ব্যাপার না। আমি শুধু দেখব তুমি আমাকে খাইয়ে-পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারছ কি না। অন্য কিছুই আমার দেখার ব্যাপার না। রোজগার করতে গিয়ে তোমার যদি কোনো পাপ হয় সেই পাপের দায়ভার তোমার। পৃথিবীতে কারও পাপের দায়ভার অন্য কেউ নিতে পারে না। ডাকাত চিন্তিত হলো। গেল ছেলের কাছে। ছেলেও একই কথা বলল। পিতা হিসেবে আমাকে খাইয়ে-পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব তোমার। সেই দায়িত্বের জন্য তুমি খুন করছ না ডাকাতি করছ তা আমি ভাবতে যাব কেন? তোমার পাপের ভার আমি নিতে যাব কেন? তোমার পাপ তোমার। ডাকাত গেল মেয়ের কাছে। মেয়েরও একই কথা। দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ডাকাত ফিরে এল বনে। এসে দেখে যে গাছের সঙ্গে সাধুকে বেঁধে রেখে গিয়েছিল সাধু সেই গাছের তলায়ই বসে আছেন কিন্তু তাঁর শরীরে কোনো বাঁধন নেই। মোটা মোটা দড়ি পড়ে আছে সাধুর পায়ের কাছে। ডাকাত হতভম্ব। এ কী করে সম্ভব? এত শক্ত বাঁধন তুমি কী করে খুলেছ? সাধু বললেন, আমি খুলিনি। আপনা আপনিই খুলে গেছে। ডাকাত বুঝে গেল সাধু ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী। কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই সাধু বললেন, এবার বলো যে কথা জানতে তুমি গিয়েছিলে সে কথা জেনেছ কি না? ডাকাত মাথা নিচু করে বলল, জেনেছি। তোমার স্ত্রী আর ছেলেমেয়ে কী বলল? তারা কি নেবে তোমার পাপের দায়ভার? না কেউ নেবে না। তিনজনই পরিষ্ককার বলে দিয়েছে আমার পাপের যাবতীয় দায়ভার আমার। আমার পাপ অন্য কেউ ভাগ করে নেবে না। তাহলে বোঝো। যাদের ভরণপোষণের জন্য ডাকাতি করছ তুমি, মানুষ খুন করার মতো ভয়াবহ পাপ করছ তারা কেউ তোমার পাপের দায়ভার নেবে না। তোমার পাপ শুধুই তোমার। তাহলে কি লাভ এই পাপ করে? ডাকাত হাতের রামদা ছুড়ে ফেলে দিল। তাই তো। তারপর সাধুর পা জড়িয়ে ধরল। সাধুবাবা, আমি এখন কী করব? এই ১০০টি খুনের পাপ আমি কীভাবে মোচন করব? ডাকাতি করে যে পাপ করেছি সেই পাপ কী করে মোচন করব? সাধু বললেন, ওই যে মরা গাছটা দেখছ, এক্ষুনি গিয়ে ওই গাছের তলায় বসো। বসে ভগবানকে ডাকতে থাকো। ভগবান, আমার পাপ মোচন করো। আমার পাপ মোচন করো। যেদিন দেখবে মরা গাছে সবুজ পাতা গজিয়েছে সেদিন বুঝবে ভগবান তোমার পাপ মোচন করেছেন। তোমার জন্য স্বর্গের দরজা খুলে যাবে। সাধুর কথায় ওই মুহুর্তেই বদলে গেল ডাকাত। জগৎ সংসার ভুলে, স্ত্রী-সন্তান ভুলে মরা গাছের তলায় গিয়ে বসল। ভগবানকে ডাকতে শুরু করল। দিন যায়, রাত যায়। ডাকাত শুধু ভগবানকেই ডাকে। মাস যায়, বছর যায়। ডাকাত শুধু ভগবানকেই ডাকে। কিন্তু তার পাপ মোচন হয় না। মরা গাছে গজায় না সবুজ পাতা। একদিন ডাকাত দেখে বনের ধারে একজন কাউকে কবর দিয়ে যাচ্ছে কিছু লোক। সন্ধ্যার দিকে তারা কাজ সেরে চলে যাওয়ার পর বিশাল চাঁদ উঠল আকাশে। ফুটফুটে জ্যোৎস্মায় ভরে গেল চারদিক। ডাকাত উদাস চোখে জ্যোৎস্মা দেখছে আর মনে মনে ভগবানকে ডাকছে। এ সময় দেখা গেল একটি লোক কোদাল হাতে সেই কবরটার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। কোদাল চালিয়ে মাটি খুঁড়ল সে, লাশ তুলে আনল। লাশের শরীর থেকে কাফনের কাপড় সরানোর পর এতটা দুর থেকেও ডাকাত দেখতে পেল, লাশটি খুব সুন্দরী একটি মেয়ের। লোকটি তারপর সেই লাশের ওপর নিজের বদমতলব হাসিল করার প্রস্তুতি নিল। এই দেখে ভগবানকে ডাকতে ভুলে গেল ডাকাত। তক্ষুনি ছুটে গেল সেখানে। কোদালের কোপে হত্যা করল লোকটিকে। মেয়েটির লাশ সসম্মানে, সযত্নে কবরে শুইয়ে দিল। তারপর অনেকক্ষণ ধরে যতটা যত্ন সম্ভব ততটা যত্নে কবরের ওপর মাটিচাপা দিল। এসব কাজ শেষ করে সে যখন তার আগের জায়গায়, মরা গাছটির তলায় ফিরে এসেছে, এসে দ্যাখে চাঁদের আলোয় চকচক করছে মরা গাছের ডালপালা। সবুজ পাতায় ভরে গেছে মরাগাছ। অর্থাৎ ডাকাতের পাপ মোচন হয়েছে। ঈশ্বর তার পাপ ক্ষমা করেছেন। মানুষ আসলে এভাবে বদলায়। বদলের মন্ত্রটা তাকে দিয়ে দিতে হয়। তার প্রাণে গেঁথে দিতে হয়, তুমি এইভাবে বদলাও। আমাদের মায়েরা, স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা, সন্তানেরা চিরকাল খারাপ পথ থেকে প্রিয় মানুষটিকে ফেরানোর মন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে খুবই সহজ একটা অস্ত্র। ছেলে খারাপ কাজ করছে, খারাপ পথে চলছে, মা ছেলেকে শপথ করিয়েছেন, আমার মাথায় হাত দিয়ে বল, খারাপ কাজ তুই আর করবি না। খারাপ পথে তুই আর চলবি না। মায়ের মাথায় হাত দিয়ে শপথ করা ছেলে খারাপ কাজটি আর করতে পারেনি। খারাপ পথে আর চলতে পারেনি। মায়ের সঙ্গে করা প্রতিজ্ঞা সে ভাঙবে না। ভাঙলে যদি মায়ের কোনো অনিষ্ট হয়? মায়ের মরা মুখ যদি দেখতে হয়? প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা নেশাভাঙ করা প্রিয় মানুষটিকেও ওই একই কায়দায় ফিরিয়েছে। প্রতিজ্ঞা করো আর নেশা করবে না। করলে আমার মরা মুখ দেখবে। নেশার সোনালি জগৎ থেকে ফিরে এসেছে মানুষটি। কিছুতেই সিগারেট ছাড়তে পারছে না সংসারের কর্তা। তার আদরের সন্তানটি বলল, তুমি সিগারেট না ছাড়লে আমি তোমার সামনে যাব না, তোমার সঙ্গে কথা বলব না। যদি আমার চেয়ে সিগারেট তোমার বেশি প্রিয় হয় তাহলে তুমি সিগারেট নিয়েই থাক। ভদ্রলোক সিগারেট ছেড়ে দিলেন। আমি এক ভদ্রলোককে চিনি। এমন একটা জায়গায় চাকরি করেন, প্রতিদিন ১০-২০ হাজার টাকা ঘুষ খাওয়া তাঁর জন্য কোনো ব্যাপারই না। ভদ্রলোক একটি পয়সাও ছুঁয়ে দেখেন না। বেতনের টাকায় অতিকষ্টে ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চালান। তাঁর সহকর্মীরা সবাই বাড়িগাড়ি করে ফেলেছে। ভদ্রলোক কেন ঘুষ খান না? চাকরিতে ঢোকার আগে বাবা তাঁকে শপথ করিয়েছিলেন, কোনো দিন একটি পয়সাও ঘুষ খাবে না। সেই শপথ মেনে চলছেন তিনি। সত্যিকার শপথের এমন এক শক্তি থাকে, পৃথিবীর কোনো প্রলোভনই সেই শক্তির সঙ্গে পেরে ওঠে না। মানুষ বদলায় নিজের শপথে। অন্যকে বদলে দেয় তার ভেতরে শপথের শক্তি তৈরি করে। বিবেককে জাগ্রত করিয়ে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিষ্টি পছন্দ করতেন। মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস ছিল তাঁর। একদিন এক সাহাবি আসছেন তাঁর কাছে। হুজুর, আমার খুবই মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস। আমি মিষ্টি খাওয়া ছাড়তে চাই। আপনি আমাকে পথ দেখান। মহানবী (সা.) বললেন, আপনি সাত দিন পর আসবেন। তখন আমি আপনাকে বলব কীভাবে মিষ্টি ছাড়বেন। সাহাবি সাত দিন পর এলেন। মহানবী (সা.) তাঁকে পথ দেখালেন। আপনি যদি প্রতিদিন চারটি মিষ্টি খান, তাহলে আজ খাবেন তিনটি। কাল খাবেন দুটো। তারপর দিন একটি। এভাবে চেষ্টা করলে অল্প দিনের মধ্যেই আপনি মিষ্টি ছাড়তে পারবেন। সাহাবি খুব খুশি। জি হুজুর। আমি এভাবেই চেষ্টা করব। কিন্তু হুজুর, এই পরামর্শ দেওয়ার জন্য আপনি সাত দিন সময় নিলেন কেন? কারণটা জানার খুব কৌতুহল হচ্ছে। মহানবী (সা.) বললেন, আমার নিজেরও মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস ছিল। এই সাত দিনে সেই অভ্যাস আমি পরিত্যাগ করতে পেরেছি। নিজের অভ্যাস না বদলে সেই বিষয়ে আপনাকে আমি কী করে পরামর্শ দেব? এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না। এই ঘটনার অর্থই হচ্ছে, বদলে যাও বদলে দাও। আগে নিজে বদলাও, তারপর অন্যকে বদলে দাও।

Monday, July 18, 2016

কালো বিলাই!!!

দুর্বল
চিত্তের পাঠকদের অনুরোধ জানাচ্ছি
কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য।
পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে আমরা
দায়ী থাকবেনা।
আসুন ,তাহলে আমরা শুনি আবুল মিয়ার ভুতের
গল্প…….
আবুল মিয়াঃ সেদিন ছিলো আষাঢ় মাস ।
আমি বাজার কইরা বাড়ী ফিরতাছি ।
আমাবইশ্যার রাইত । ঘুটঘুটা আইন্ধাইর । এক হাত
দুরের জিনিষও দেখা যায়না । তখন আবার
ম্যালা রাইত । গ্রামের রাস্তা তো,
একটা কাকপক্ষীও নাই । আমি তো হালার
ভয়ে অস্থির । বিভিন্ন সূরা আর
দোয়া পড়তে পড়তে হাটতাছি । আমার
হাতে ছিল দুইখান ইলিশ মাছ । সাড়ে ৬শ
টাকা দিয়া কিনা। হালায় দাম চাইছিলো ২
হাজার । আমি কইছি থাপ্পর দিয়া তোর দাঁত
ফালায়া দিমু হারামজাদা ! চিনোস আমারে ।
যাই হউক , রাত্রে বেলা ইলিশ মাছ
নিয়া বারি ফিরতাছি , ইলিশ মাছ আবার
‘তেনাগো’ বিশেষ পছন্দের জিনিষ । সেই
কারনে আমার ডর আরো বাইরা গেলো ।
অবশ্য এখনকার ইলিশে আগের সেই গন্ধ আর শুয়াদ
(স্বাদ) নাই । ইলিশ আনতেনে আমার নানাজান ।
আহারে কি গন্ধ !! কি টেস্ট !!
আইনা নানীরে কইতেন … ‘ও করিমের মা …’
উপস্থাপকঃ আমরা সে গল্প না হয় আরেকদিন
শুনবো , আমরা মূল গল্পে ফিরে আসি ।
যাই হউক । কিছুদুর হাটার পর হাল্কা চান্দের
আলোতে দেখি সামনে মিঞাবাড়ির বটগাছ
দেখা যায়।
উপস্থাপকঃ কিন্তু আপনি তো বললেন
আমাবস্যার রাত।
ইশ , ভাইজান , আপ্নে বড়ই সমস্যা করেন , কইলাম
না এইটা ভুতের গল্প । এইখানে চান্দ মিনিটের
মধ্যে উঠবো , মিনিটের মইধ্যে নামবো ।
এতো প্রশ্ন করলে কইলাম আমি নাই ,
ডাইক্কা আইন্না বেইজ্জত !!
উপস্থাপকঃ আচ্ছা , আচ্ছা আমরা ঘটনায়
ফিরে আসি । আপনি বটগাছ দেখলেন … তারপর ?
এই বটগাছের আবার বিরাট কাহিনী । এই গাছের
ডালে ফাঁস দিয়া কুলসুমা মরছিল ।
আহারে কুলসুমা । দেখতে বড়ই সউন্দর ছিল ।
স্কুলে আইতে যাইতে কুলসুমের
সাথে রংতামাশা করতাম । ‘টুনির মা’
কইয়া ডাক দিতাম । কুলসুম কিছু কইতো না ।
ডরে তার মুখ দিয়া কথাই বাইর হইতোনা । খিক
খিক খিক …
একখান ‘বিশেষ’ কারনে কুলসুমা গলায় ফাঁস
দিছিল । সেই কথা আপনেরে আলগা কইরা কমু , তয়
হেইদিন কুলসুমার কথা মনে হইতে আমি বুঝলাম
‘ডর’ কি জিনিশ । তিনবার সুরা এখলাস
পইড়া হাটা দিলাম । পূর্ণিমার রাইত , সব কিছু
পস্ট দেহা যাইতাসে । আতকা দেখি আমার
সামনে একটা কালা বিলাই ।
আমি বুঝলাম এইটা কুলসুমা ছাড়া আর কেউ না।
আমারে শাস্তি দিতে আইছে ।
আমি মাথা ঠাণ্ডা রাইখা কইলাম ‘আম্মা ,
তুমি আমারে মাফ কইরা দ্যাও ‘
বিলাই এ কয় ‘ম্যাও’ । বড়ই আজিব ব্যাপার !!!
এইদিকে ‘ভাদ্র’ মাসের
গরমে আমি ঘামে ভিইজা জুবজুবা।
আমি কুলসুমা (বিলাই) রে কইলাম , ‘আমি আর
জিন্দেগিতে কোন মাইয়ার দিকে চউখ
তুইলা তাকামু না , কেউরে মিসকল দিমুনা, মাফ
করো আম্মা , বারি যাইতে দ্যাও …
কুলসুমা কয় ‘ম্যাও’ … চিন্তা করছেন অবস্থা ?
এমন সময় শুনি পেছনে বেটা মাইনশের গলার
আওয়াজ । আমি আপনাদের অনুষ্ঠানের মত
কইরা ডাক দিলাম … ‘কেডা ? কেডা ওনে ?’
আওয়াজ আইলো ‘জী , আমি রহিম । ভালা আছেন
নি ভাই ?’
রহিম রে দেইখা আমার জানে শান্তি আইল ।
আবার লগে ডর ও লাগলো । এত রাইতে রহিম
এইহানে কি করে ?
সামনে তাকায়া দেখি কুলসুমা (কালা বিলাই)
নাই !!! তহন আমার মনের সন্দেহ আরও
বাইড়া গেলো । তাইলে কি বিলাইটা রহিমের
রুপ ধইরা আইলো ? আমি তাকায়া দেহি আমাদের
রহিমের মতো এই রহিমের শইল্যের রঙ ধলা না,
কালা !!! বিলাইয়ের রঙ ও কালা আছিল । কুলসুমার
গায়ের রঙ ও কালা আছিল । দুইয়ে দুইয়ে চাইর
হইতে সময় লাগলো না।
তয় আমি যে ভয় পাইছি সেইটা রহিম
(না কুলসুমার আত্না ?) রে মোটেও বুজবার দিলাম
না । একবার যদি ব্যাটা টের পায় আমি ভয়
পাইছি , ব্যাটা আমার ঘাড় মটকাইয়া খাইবো ।
আমি জোরে জোরে হাটতে থাকলাম
লগে সূরা পড়তে থাকলাম । বাড়ি আমার
আরো মিনিট দশেকের পথ … কেমতে যে যাই । যত
সূরা মুখস্ত আছে সব পড়া শুরু করলাম ।
এইদিকে রহিম আমার পিছ পিছ হাটতাছে।
রহিমের সাথে হাল্কা গফসফও করা শুরু করলাম।
এর মধ্যে দুইবার রহিম জিগাইলো আমার ব্যাগের
মধ্যে কি ? আমি কিছু কইলাম না । হালায়
যদি একবার টের পায় ইলিশ মাছ তাইলে আমার
আর বাইচা থাহনের কোন আশা নাই ।
কিছু সময় পড়ে আমি রহিমরে কইলাম চইত্র মাসের
গরম টের পাইতেছ রহিম ? কেমুন গা জলতাছে ?
কিন্তু পেছনে কোন উত্তর নাই ! আমি কইলাম ‘ও
রহিম , রহিম ।‘ উত্তর নাই ।
পিছনে তাকায়া দেহি রহিম নাই । আমার
ধারনাই সত্যি হইলো । আমি জানের
ডরে উইঠা দিলাম দৌড় । কুলসুমার ভুত আবার
কোন সময় চইলা আসে ঠিক নাই ।
এমন সময় পেছন থাইকা শুনি রহিমের গলা ‘ও
মিয়া ভাই , ও মিয়া ভাই ।‘ কুলসুমার ভুত আবার
চইলা আইছে । আমি দৌড় থামাইলাম না ।
জানের শক্তি দিয়া দৌড়াইতে থাকলাম ।
কুলসুমার ভুত ‘রহিম’ ও আমার
লগে দৌড়াইতে থাকলো । আর কইতে থাকলো ও
মিয়া ভাই আমারে লইয়া যান ।
আমারে লইয়া যান’ আরে আমি কি আর এতোই
বুকা ?
শেষে দৌড়াইতে দৌড়াইতে বাড়ি আইসা পৌঁছাইলাম
। এখন আর আমার কোন ডর নাই! এমন সময়
হালা ভুতও আইসা উপস্থিত । আমি কইলাম
কুলসুমা তুই এইহান থাইকা যা … নইলে কিন্তু
আমি মাওলানারে ডাকমু …
ভুত রহিমে আমারে কইলো ‘ ও ভাইজান , আপনের
কি হইছে আমারে কুলসুমা কোন ক্যান ? আপনের
কি হইছে ।
আমি ভালো কইরা খেয়াল কইরা দেখলাম
রহিমের শরীরের ছায়া মাটিতে পড়তেছে । তার
মানে এইটা ভুত না , ভুতের শরীরে কোন
ছায়া থাকেনা।‘
বুঝলাম , এইটা আসলেই রহিম , কুলসুমার ভুত না!!
আমি রহিমরে কইলাম ‘আমার পিছন
থাইকা আতকা তুই গেসিলি কই ?’
রহিম শরমের হাসি দিয়া কইল ‘মুততে গেছিলাম
ভাই , ক্ষেতের ধারে’
আমি আবার কইলাম ‘শালা , কইয়া যাবিনা ?’
রহিম কইলো ‘ক্যাম্নে কমু ভাই ? মুতার
কথা কইতে শরম লাগে , কিন্তু আপ্নে দৌড়
দিলেন ক্যান ? কি হইছিলো ?
আমি আর সত্য ঘটনা কইলাম না। আমি কইলাম
‘কিছু না , মনে হয় কুলসুমারে দেখছিলাম , তাই
দৌড় দিলাম ।‘
রহিম রাগ কইরা বলে ‘তাই
বইলা আমারে রাইখা দৌড় দিবেন ?
যে ভয়ডা পাইছিলাম । যাই হউক আমারে এক খান
লুঙ্গি দেন ।‘
আমি জিগাইলাম ‘লুঙ্গি চাস কেন ?’
রহিম আবারো শরমের হাসি দিয়া কইলো ‘ ভাই
অর্ধেক কামের মাঝে আপনে উইঠা দিলেন দৌড় ,
আমিও দিলাম দৌড় , বাকি অর্ধেক
দৌড়াইতে দৌড়াইতেই… ‘ রহিম আর কিছু
কইতে পারলোনা। শরমে তার মুখ লাল
হইয়া আছে।
আমি কইলাম ‘ছিঃ রহিম , তুই এতো ডরাস ?
তোরে আমার ছুটো ভাই হিসেবে পরিচয় দিতেই
লজ্জা করবো । যাউজ্ঞা ,
লুঙ্গি বদলাইয়া বাড়িত যা,
কাইল্কে আইনা ফেরত দিছ । রহিম
লুঙ্গি লইয়া বাড়িত চইলা গেলো। আমিও এই
ঘটনার কথা মনে কইরা হাসতে হাসতে বিছানায়
শুইতে গেলাম ।
‘বৈশাখ’ মাস । হটাত কইরা ঝড়-তুফান শুরু হইলো ।
আমি খেতা মুড়ি দিয়া আরামসে ঘুমাইতে গেলাম
। আর ভাইবা দেখলাম , রহিম যদি সময়
মতো না আইতো তাইলে ঐ কুলসুমার ভুত
‘কালা বিলাইটা’
আমারে জানে মাইরা ফেলতো । কার দোয়ায়
বাইচা আইছি কে জানে ?

Saturday, July 16, 2016

★★★★তিন বেকুব বন্ধু। ★★★★


তিন বেকুব বন্ধু এক সঙ্গে হাটতে ছিল।
রাস্তার পাশে পুরাতন অনেক লম্বা এক মিনার দেখতে পেল।
বেকুবেরা নিজেকে জ্ঞানী জাহির করার জন্য মিনার সম্পর্কে পরস্পরে মন্তব্য করল।
প্রথম বেকুব
: আরে দেখেছিস!
আগের যুগের মানুষ কত লম্বা ছিলো।
মিনারের মাথাটাও মাটি থেকে হাত দিয়ে বানাইছে।
দ্বিতীয় বেকুব
: আরে আহম্মক!!
এরকম নয়। মিনারাটা মাটিতে বানাইয়া সবাই মিলে খাড়া করে দিছে।
তৃতীয় বেকুব।
: আরে মূর্খে দল!!!
এটা আগে কুপ ছিল। কালের পরিক্রমায় মিনারা হয়েছে।

Thursday, July 14, 2016

চীনের হাতে বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী কম্পিউটার।

মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার না করে প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছে চীন। প্রতি সেকেন্ডে ৯৩ পেটাফ্লপ (১ পেটাফ্লপ=১ হাজার টেরাফ্লপ বা ১০ লাখ গিগাফ্লপ) গতির ‘সানওয়ে তাইহুলাইট’ নামের এই সুপারকম্পিউটার তৈরিতে স্থানীয় মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে ২০ জুনে প্রকাশিত টপ ৫০০-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়। বছরে দুবার গতির বিচারে সেরা ৫০০ সুপারকম্পিউটার তালিকা প্রকাশ করে টপ ৫০০ নামের প্রতিষ্ঠান। জার্মান এবং মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কে জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন টপ ৫০০।
টপ ৫০০-এর আগের তালিকার শীর্ষেও ছিল চীন, তবে তিয়ানহে-২ নামের সে কম্পিউটার তৈরিতে মার্কিন মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাতা ইনটেলের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছিল। তিয়ানহে-২ ছিল মাত্র ৩৩ পেটাফ্লপ গতির। পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর যে চীনের নির্ভরশীলতা কমছে, সানওয়ে তাইহুলাইট তা-ই প্রমাণ করে। জলবায়ু এবং জীবন বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যবহারের জন্য চীনের উশি শহরের ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটিং সেন্টারে এটি স্থাপন করা হয়েছে।
গতির বিচারে শীর্ষ দশ সুপারকম্পিউটারের দুটি চীনে, চারটি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। বাকি চারটির মধ্যে জাপান, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও সৌদি আরবে একটি করে আছে। শুধু তালিকার শীর্ষে না, সেরা ৫০০ সুপারকম্পিউটারের ১৬৭টি চীনে অবস্থিত। অথচ শীর্ষ প্রসেসর নির্মাতাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে আছে ১৬৫টি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় চীন প্রচুর অর্থ খরচ করে যাচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার।
এত প্রচেষ্টার পরেও অবশ্য বিজ্ঞান গবেষণায় বেশ কিছু দিক থেকে দেশটি পিছিয়ে পড়ছে। অন্যদিকে চীনের ইউনিভার্সিটিগুলোও বৈশ্বিক তালিকায় আশানুরূপ ফল করতে পারছে না।