https://www.facebook.com/Creativehira-health-care

আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুন। নতুন নতুন তথ্য জানতে পেজটিতে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।

Friday, July 22, 2016

★★★অদ্ভুত চিকিৎসক।★★★

বাদশাহ নামদার এতো মোটা হয়েছে। কোন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না। কেমন যেন শরীরে একটু অশান্তি লাগছে। মোটা হওয়ায় এই সমস্যা।
তাই তিনি রাজ হাকিমদের সাস্থ্য কম হওয়ার দাওয়াই দিতে হুকুম দিলেন।
কিন্তু কথায় আছে "আল্লাহ যাকে দেন, জমিন ফাইটা দেন "
বাদশার জন্যও তাই হলো।
রাজ হাকিমরা যতই সাস্থ্য কম হওয়ার দাওয়াই দেয়। বাদশা উল্টো ততই মোটা হয়। সমস্যা আরো বেশী প্রকট হলো।
বাদশা এবার দরবারে কিভাবে সমাধান করা যায় তার আলোচনা করল।
দরবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমস্ত রাজ্যে ঘোষণা করা হলো।
আর সাথে একথাও প্রচার করা হলো "যে ব্যক্তি বাদশার সাস্থ্য কমিয়ে মোটা থেকে চিকন করতে পারবে, তাকে অনেক পুরস্কার প্রদান করা হবে। "
ঘোষণা শুনে অনেক হাকিম চিকিৎসা করতে আসলো। কিন্তু কোন ফল হলো না। বরং সাস্থ্য বাড়তেই থাকল।
এক দিন ছিন্ন -ভিন্ন, দরিদ্র, এক গ্রাম্য হাকিম আসলো বাদশাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য।
দরবারের সবাই তাকে উপহাস করে বলল।
:আপনার থেকে নামি দামী অনেক হাকিম পারলোনা। আর তুমি পারবে?
: ইনশাআল্লাহ! চেষ্টা তো করতে পারি।
: সময় নষ্ট না করে চলে যাও।
গ্রাম্য হাকিম বললো।
: আমাকে তিন দিন সময় দিন। আমি বাদশাহ হুজুরের সিতারা এবং ভাগ্য গনণা করে দাওয়াই দিব। আর আমাকে বন্দী করে রাখেন। কাজ না হলে শাস্তি দিবেন। তাকে তিন দিন সময় দেওয়া হলো।
সে তিন দিন পর এসে জানাল।
: আমি বাদশাহ হুজুরের ভাগ্য এবং সিতারা গনণা করে দেখলাম। হুজুরের হায়াত মাত্র চল্লিশ দিন। চল্লিশ দিন পর হুজুর মারা যাবে। তাই হুজুরকে দাওয়াই দিতে পারলাম না।
গ্রাম্য হাকিমকে বন্দী করে জেলখানায় রাখা হলো।
বাদশাহ নামদার মৃত্যুর কথ শুনে চিন্তায় পড়লেন।
নাওয়া -খাওয়া, আনন্দ -ফুর্তি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ আল্লাহ শুরু করলেন।
এমনকি স্ত্রী -পুত্র, দরবার, বন্ধ -বান্ধব সব বাদ দিয়ে একান্তে জিকর -আজকার শুরু করল।
বাদশাহ দিন দিন শুকে চিকনা হয়ে গেল।
চল্লিশ পর মৃত্যু হচ্ছে না। হাকিমকে হাজির করার আদেশ দিলেন।
হাকিমকে হাজির করা হলো।
তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো।
: তোমার বেধে দেওয়া সময়ের পরও তো বাদশাহ মারা গেল না।
হাকিম বলল।
: ঐটায় তো আমার ঔষধ। বাদশাহ চিকন হয়েছে কিনা বলেন??
বাদশাহ তার বুদ্ধি দেখে তাকে অনেক অনেক পুরস্কারে পুরুস্কিত করে ছেড়ে দিল।
------আরবী সাহিত্য থেকে সংগ্রহিত।

0 comments:

Post a Comment